জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জয়পুরহাটের এই সমাগম আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে বিপ্লবীরা এখনও ঘুমায়নি। জয়পুরহাটবাসী এখনও ঘুমায় নাই। বিচার ও সংস্কার এর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের দিকে যেতে হবে। ৩ আগষ্ট শহীদ মিনারে যেভাবে ১ দফার ঘোষণা দিয়েছিলাম ঠিক সেভাবে শহীদ মিনারে আগামী ৩ আগষ্ট বিচার, সংস্কার, নতুন সংবিধান ও দেশ পূর্ণগঠনের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশ গড়তে জুলাই পথসভার অংশ হিসেবে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে জয়পুরহাট জেলা নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আয়োজনে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিস্ট সৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের জন্য। আমাদের এবারের আন্দোলন কর্মসূচি নতুন দেশ গঠনের জন্য কারন আমরা বলেছিলা শুধু শেখ হাসিনার পতন নয় দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, শুধু দলের পরিবর্তন নয় দেশের মাফিয়া, দূর্ণীতিবাজ সিস্টেম এর পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু ১ বছরে এই সিস্টেমের পরিবর্তন আমরা দেখতে পাইনি। আমরা এলাকা এলাকায় এখনও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাফিয়াতন্ত্র দেখি। আমরা এই পুরো সিস্টেম এর পরিবর্তন দেখতে চাই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা মাঠে নেমেছি গণঅভ্যুত্থানের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে। সেই ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলুপ্ত করে নতুন রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এই যাত্রা। ৩ আগষ্টের ইশতেহারে নিশ্চিতভাবে জয়পুরহাটবাসীর ভবিষ্যৎ মুক্তির কথাও থাকবে। জয়পুরহাটের বিভিন্ন সমস্যার কথা আমরা শুনেছি ইনশাআল্লাহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ সেই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে।
এসম উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও বগুড়া জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাকিব মাহদীসহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমগীর, যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী বাবু, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আশরাফুল ইসলাম, এনসিপির জেলা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কবির, আবু রায়হান, নুরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন হাদি, জহুরা বেগম, সহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারা।
দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'জুলাই ঘোষণাপত্রকে অবশ্যই নতুন সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। কেবল যুক্ত নয়, একাত্তর ও চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাই হবে নতুন সংবিধানের আদর্শিক ভিত্তি।
প্রথমে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দলিল হিসেবে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত হবে। পরবর্তীতে একে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের ছাত্র-গণঅভুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি থাকবে।'